Sunday, August 26, 2018






জাপান পড়ালেখা বা স্টুডেন্ট ভিসা যাওয়ার জন্য উপযোগী তথ্য।


উচ্চশিক্ষার জন্য অনেকেই ভিনদেশে পাড়ি জমাতে চান। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এক্ষেত্রে জাপানকে বেছে নিতে পারেন। এশিয়ার এই দেশটিতে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে পড়াশোনার অনেক সুযোগ।


অনেকেই এডুকেশন ভিসা নিয়ে জাপান যচ্ছেন। আপনি যদি এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তবে ব্যাচেলর্স ডিগ্রিতে এবং ব্যাচেলর্স ডিগ্রিতে উত্তীর্ণ হলে মাস্টার্সে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারেন। এসোসিয়েটেড ডিগ্রি, ব্যাচেলর্স ডিগ্রি, মাস্টার্স ডিগ্রি ও ডক্টরেট প্রোগ্রামে পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য আপনি জাপানে যেতে পারেন।


জাপানে স্টুডেন্টরা পড়ালেখার পাশাপাশি বৈধ ভাবে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। আবার জাপানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রচুর বৃত্তি দিয়ে থাকে। গ্রাজুয়েট পর্যায়ে পড়ালেখার জন্য সরকারী বেসরকারী সব বিশ্ববিদ্যালয়েই আর্থিক সহায়তা পাওয়ার ব্যাবস্থা করা যায়। এশিয়ান ইয়ুথ ফেলোশিপ, হিউম্যান রিসোর্সেস স্কলারশিপ ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও স্কলারশিপ ফাউন্ডেশন বিদেশী ছাত্রদের বৃত্তি দিয়ে থাকে। জাপান সরকারের ওয়েবসাইট থেকে আপনি বৃত্তির তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।


ভিসার প্রকৃয়া খুব জটিল কিছু নয়। তবে কলেজ/ ইউনিভার্সিটি/এডুকেশন ইনিস্টিটিউট খেকে এলিজিবিলিটি সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে/ ভর্তি হতে হবে। ভিসার জন্য অথবা জাপানে পড়াশোনা করতে হলে টোফেল/IELTS না হলেও চলে, কিন্তু জাপানি ভাষা জানা থাকলে অনেক সুবিধা হয়। ভিসার জন্য আরো যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, তা হল অবশ্যই স্পন্সর লাগবে। সুবিধা হল যে কেউ স্পন্সর হতে পারে (মানে, ব্লাড রিলেশন না থাকলেও হবে)। ব্যাংকে স্পন্সরের কমপক্ষে ১৩ লাখ টাকা ক্যাশ দেখাতে হয়, ৬ মাসের ব্যাংক সার্টিফিকেট লাগে।


সবচেয়ে সহজ রাস্তা হল জাপানের কোন লেংগুয়েজ ইনিস্টিটিউট থেকে এলিজিবিলিটি সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা। এলিজিবিলিটি সার্টিফিকেট পেলে সেই লেংগুয়েজ ইনিস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে ভিসার জন্য এ্যাপ্লাই করুন। ভিসা নিয়ে জাপান চলে যান। লেংগুয়েজ কোর্স করে নিন। তারপর আপনার কাংখিত সাবজেক্টে ভর্তি হয়ে যান। এতে শুরুতে ভিসা পেতেও সুবিধা হল, জাপান যাওয়ার আগে ভাষা শেখার টেনশনটাও থাকল না।


বাংলাদেশে বেশ কিছু কনসাল্টেন্ট/সর্ভিস সেন্টার আছে যারা এ ব্যপারে খুব কম খরচে সার্ভিস দিচ্ছে। তবে তাদের সাথে কথা বলার সময় অবশ্যই জেনে নিবেন যে তাদেরকে কোন জাপান লেংগুয়েজ ইনিস্টিটিউট অথরাইজেশন দিয়েছে কিনা। জাপানের কোন লেংগুয়েজ ইনিস্টিটিউটের অথরাইজেশন না থাকলে প্রতারিত হবার সম্ভাবনা আছে।


লেংগুয়েজ কোর্স কমপ্লিট করে আপনি জাপানে যেসব বিষয়ে ব্যাচেলর্স ও মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য অ্যডমিসন নিতে পারবেন :


হিউম্যান স্ট্যাডিজ, লিঙ্গুইস্টিক স্টাডিজ, হিস্টোরিকেল স্টাডিজ, হিউম্যান সায়েন্স, এডুকেশনাল সায়েন্স, ল এন্ড সোসাইটি, পাবলিক ল এন্ড পলিসি, ইকনোমিক্স, ম্যানেজমেন্ট, একাউন্ট্যান্সি, ফিজিক্স, এস্ট্রোনমি, জিওফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, আর্থ সায়েন্স, মেডিক্যাল সায়েন্স, ডিজেবিলিটি সায়েন্স, ডেন্টিস্ট্রি, ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি, বায়োফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স, লাইফ সায়েন্স, মেকানিক্যাল সিস্টেমস এন্ড ডিজাইন, ন্যানোম্যাকানিক্স, এ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, কোয়ান্টাম সায়েন্স এন্ড এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, এপ্লাইড ফিজিক্স, এপ্লাইড কেমিস্ট্রি, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োসলিকিউলার ইঞ্জিনিয়ারিং, মেটেরিয়াল সায়েন্স, মেটেরিয়ালস প্রসেসিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার এন্ড বিল্ডিং সায়েন্স, ম্যানেজমেন্ট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, বায়োইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রোবটিক্স, বায়োলজিক্যাল রিসোর্সেস সায়েন্স, বায়োসায়েন্স এন্ড বায়োটেকনোলজি, এরিয়া স্টাডিজ, ইন্টারকালচারাল রিলেশন্স, কম্পিউটার এন্ড ম্যাথমেটিকেল সায়েন্স, সিস্টেম ইনফরমেশন সায়েন্স ও এডুকেশনাল ইনফরমেটিক্সসহ ইত্যাদি ।জাপানের ভিসা পাওয়ার জন্য সময় অনুযায়ী অফিস থেকে ভিসা আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করতে হয়। আবেদন ফর্মটি ওয়েব সাইট থেকেও ডাউনলোড করা যায়। ভিসা ফর্মটি ডাউনলোড করতে নিচে দেখুন।
ভিসা আবেদনের নিয়ম
ভিসা আবেদনকারীকে আবেদন ফর্মটি যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে এবং ২ কপি ২”/২” ছবি ব্যবহার করতে হবে। ছবি অবশ্যই ৬ (ছয়) মাসের মধ্য তোলা হতে হবে।প্রত্যেক কর্ম দিবসে সকাল ৯.৩০ টা থেকে বেলা ১১.৩০ টার মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত না করলে বা ভিসা আবেদন বাতিল হওয়ার ৬ মাস অতিক্রম না করতেই পূনরায় ভিসার জন্য আবেদন করলে, ভিসা প্রদান করা হয় না।আবেদনপত্র জমা দিলে আবেদনকারীকে অফিস থেকে আবেদনপত্র জমার রশিদ প্রদান করা হয়।ইন্টারভিউ আবেদনপত্র জমার পর ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়।ইন্টারভিউ শেষে পাসপোর্ট কিভাবে সংগ্রহ করা যাবে তা জানানো হয়।আবেদনপত্র জমার রশিদে পাসপোর্ট সংগ্রহের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
পাসপোর্ট প্রদানের নিয়ম
অফিস কর্তৃক ঘোষিত সময়ে পাসপোর্টসহ জমাকৃত সকল কাগজপত্র আবেদনকারীকে ফেরত দেওয়া হয়।
পাসপোর্ট ফেরত পেতে আবেদনপত্র জমার রশিদ দেখাতে হয়।
আবেদনকারীর অনুমোদিত ব্যক্তি পাসপোর্ট তুলতে চাইলে আবেদনপত্র জমার রশিদ এবং আবেদনকারীর সহি-স্বাক্ষর সম্বলিত পত্র সাথে আনতে হবে।
মাল্টিপল ভিসা
৯০ দিনের জন্য জাপান সফর করতে মাল্টিপল ভিসা প্রদান করা হয়। মাল্টিপল ভিসার মেয়াদ থাকে ১ বছর। মাল্টিপল ভিসা পেতে আবেদনকারীকে প্রুফ লেটার এবং প্রুফ লেটারের সাথে রেফারেন্স সংক্রান্ত কাগজপত্র দাখিল করতে হয়। দেশের বাইরে অবস্থানকারী বাংলাদেশী নাগরিক যারা বাংলাদেশে অবস্থান করেন না, তাদের ভিসা আবেদন গ্রহন করা হয় না। এমনকি বিদেশী নাগরিক যারা বাংলাদেশী নাগরিক নন এবং যারা বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করেন তাদের ভিসা আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয় না।
বিজনেস ভিসার জন্য প্রয়োজন
জাপানে যাওয়া আসার এয়ার লাইন বুকিং স্লিপ
আবেদনকারীর নিয়োগকারীর সনদ
জাপান সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আমন্ত্রণপত্র
জাপান ভ্রমণ সংক্রান্ত এলসি
ভ্রমন সংশ্লিষ্ট মালপত্র বহনের তালিকা
অর্থনৈতিক সামর্থ্যের প্রমানপত্র
আবেদনকারী নিজে বিজনেস ভিসায় জাপান ভ্রমণ করতে চাইলে আবেদনকারীর বার্ষিক আয়ের বিবরনী
ব্যাংক স্টেটমেন্ট
আবেদনকারীর ভ্রমণ খরচ যদি জাপানের কোন কোম্পানী বহন করে তাহলে গ্যারান্টি লেটার
জাপানী কোম্পানীর রেজিষ্ট্রেশন
জাপানী কোম্পানী থেকে প্রাপ্ত নিয়োগপত্র
ব্যবসায়িক কার্যক্রমের প্রমানপত্র।
স্টুডেন্ট ভিসা জন্য প্রয়োজন
আবেদনপত্র
বৈধ পাসপোর্ট
পুরাতন পাসপোর্ট (যদি থাকে)
২ কপি ছবি (২/২)
এলিজিবিলিটি সার্টিফিকেট (সরকারী বৃত্তিপ্রাপ্তদের প্রয়োজন নেই)
জীবন বৃত্তান্ত
জাপানী ইনষ্টিটিউট কর্তৃক প্রদত্ত একসেপটেন্স লেটার (যদি থাকে)
অর্থনৈতিক সামর্থ্যের প্রমাণপত্র
একাডেমিক সার্টিফিকেটের মূল কপি এবং ফটো রেজিষ্ট্রেশন সার্ভিস (যদি থাকে)
পেমেন্ট রিসিভ রিসিপ্ট এবং রেমিটেন্স রিসিপ্ট ফর টিউশন (যদি থাকে)
ভ্রমণ ভিসার জন্য প্রয়োজন
আবেদনপত্র
বৈধ পাসপোর্ট
পুরাতন পাসপোর্ট (যদি থাকে)
২ কপি ছবি (২/২)
যাওয়া আসার এয়ার লাইন বুকিং স্লিপ
আমন্ত্রণপত্র (যদি গ্যারান্টর থাকে)
গ্যারান্টরের সাথে সম্পর্কের কাগজপত্র (যদি গ্যারান্টর থাকে)
অর্থনৈতিক সামর্থ্যের প্রমাণপত্র (# যদি ভ্রমণের খরচ ভ্রমণকারী নিজে বহন করে # ইনকাম ট্যাক্স সার্টিফিকেট (যদি থাকে) # ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
জাপানী গ্যারান্টর থাকলে গ্যারান্টি লেটার
ইনকাম ট্যাক্স সার্টিফিকেট # ব্যাংক স্টেটমেন্ট(যেকোন একটি)
সিটিজেন রেজিষ্ট্রেশন অথবা সার্টিফিকেট এবং পাসপোর্ট কপি।
বিশেষ দ্রষ্টব্য
ভিসা আবেদনের জন্য কোন রকম ফি প্রদান করতে হয় না।
ইমেইল বা ফ্যাক্সের মাধ্যমে কোন কাগজপত্র গ্রহণ করা হয় না।
ভিসা সার্ভিসের সময়সূচী
Visa Related Service Hours
1
Distribution of Visa Application Form
09:00am to 05:00pm
Sunday to Thursday
5 days a week
2
Submission of Visa Application Form
09:30am to 11:30am
Sunday to Thursday
5 days a week
3
Interview Time
9:30am to 11:30am
Usually same day after the submission of documents
—–
4
Passport Return Time
2:30pm to 3:30pm
Usually seven working days after interview
—–
বিবিধ
ভিসা সংক্রান্ত বিষয় জানার জন্য ওয়েব সাইডে ক্লিক করুণ http://www.bd-japan.jp
জাপানী ভাষা ও সাংস্কৃতি জানার জন্য ওয়েব সাইডে ক্লিক করুণ http://www.bd-japan.jp
উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় জানার জন্য ওয়েব সাইডে ক্লিক করুণ http://www.bd-japan.jp

আররাফ আনান/নতুন পৃথিবী নিউজ ডেস্ক

No comments:

Post a Comment

পেট থেকে গ্যাস দূর করার সহজ কয়েকটি উপায় জেনে নিন তেলাক্ত জিনিস সবাই পছন্দ করি,সবারই পছন্দ একটু ভাজাপোড়া অথবা দাওয়াত , পার্টিতে মস...